সিঙ্গাইরে ১৪৪ ধারা অমান্য করে এক নারীর জমি দখল করে ঘর নির্মাণ

জেলা প্রতিনিধি, স্বাধীনবাংলা২৪.কম
মানিকগঞ্জ থেকে জালাল উদ্দিন ভিকু : মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার গোবিন্দল গ্রামে ১৪৪ ধারা অমান্য করে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় জমি দখল করে স্কুলঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান ঘর নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে মাািনকগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন জমির মালিক রাহিমা বেগম।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, গোবিন্দল আইডিয়াল কেজি স্কুল সংলগ্ন ৩০ শতাংশ জমি স্থানীয় ইউসুফ আলী সাফ কবলা দলিল মুলে ক্রয় করে ১৯৮৯ সাল থেকে ভোগ দখল করে আসছিলেন। ২০০০ সালে তিনি ওই জমি তাঁর স্ত্রী রাহিমা বেগমকে দানপত্র দলিল করে দেন। কিন্তু গত ২২ জুলাই তাঁর জমির পাশে অবস্থিত গোবিন্দল আইডিয়াল কেজি স্কুলের প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমানসহ আরও কয়েকজন স্থানীয় প্রভাবশালী জমি দখলের চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় ২৪ জুলাই রাহিমা বেগম মানিকগঞ্জ ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমানসহ একই এলাকার মহিদুর, কোহিনুর, শ্যামল, জুসন, জামালকে আসামী করে ১৪৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন। কয়েকদিন পরে আবারও ওই জমি দখল করতে ঘর তোলার পায়তারা চালায় তারা। তখন সিঙ্গাইর থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘর উঠানো বন্ধ করে দিয়ে যায়। কিন্তু এতেও ওই প্রভাবশালীরা মানেননি। গত ৭ আগষ্ট সোমবার ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জিল্লুর রহমানসহ ওই প্রভাবশালীরা আবার দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওই জমিতে দু’চালা ঘর উঠিয়ে গোবিন্দল আইডিয়াল হাই স্কুলের নামে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেন।
এ বিষয়ে জমির মালিক রাহিমা বেগম জানান, প্রথমে ভাড়া দেওয়ার বিষয়টি সঠিক ছিল। কিন্তু অল্প ক’দিন পরই আমার প্রবাসী ছেলে উক্ত জমিটি ভাড়া না দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তখন আমি অগ্রিম নেয়া টাকাটা স্থানীয় মাতব্বর হাজী জুলমতের নিকট জমা দিয়ে তাদের টাকাটা ফেরত দিতে বলি। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ভাড়া না দেয়ার বিষয়টি মেনে নেয়নি। তখন তারা বলে যেভাবেই হোক জমি আমরা ছাড়ব না। কেউ বাধা দিলে প্রয়োজনে লাশ ফেলে দেব তবুও এই জমিই আমরা দখল করব। আমার লোকজন না থাকায় তারা এভাবে আমার জমিটি দখল করে নিল।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান জানান, কয়েকমাস আগে আমরা সাড়ে ১০ শতাংশ জমি রাহিমা বেগমের নিকট থেকে স্কুল ঘর নির্মাণের জন্য ভাড়া নিয়েছি। প্রতি বছর ২৫ হাজার টাকা ভাড়ার শর্তে ১০ বছরের জন্য এই জমি রাহিমা বেগমের নিকট থেকে মৌখিক চুক্তিতে ভাড়া নেয়া হয়েছে। এসময় তিনি ১ লক্ষ টাকা অগ্রিমও দিয়েছেন। কিন্তু এর কয়েকদিন পর উক্ত জমিটি ভাড়া দিবেন না বলে অগ্রিম নেয়া ১ লক্ষ টাকা স্থানীয় মাতব্বর হাজী জুলমতের নিকট ফেরত দিয়েছেন। কিন্তু আমরা এ বিষয়টি মানতে না পারায় আর অন্য কোন জায়গা না পাওয়ায় এই জমিতেই ঘর তুলেছি।
এ ব্যাপারে সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ঘর উঠানোর ব্যাপারে আমাদেরকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘর তোলার কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে এসেছে। তারপরও যদি তারা ঘর তোলে থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো খবর »
-
প্রস্তুত হচ্ছেন অপু
-
সালমান শাহ'র স্ত্রী সামিরা ও ডনের যে ছবি ভাইরাল
-
সিরিয়ালে নারীদের অবস্থান হাস্যকর
-
বরের বয়স ৯ কনের ১৮, ব্যাপক তোলপাড়!
-
আমি মানসিকভাবে অসুস্থ, যা বলেছি সব মিথ্যা: রুবি
-
যে কারণে বিয়ের রাতে লাল শাড়ি পরতে বলা হয়
-
শাকিবের জন্য মধ্যরাতে অপুর পোলাও রান্না
-
'প্লিজ দেবের বিয়েটা দিয়ে দিন'
-
এবার আর গলবে না আপনার সাধের আইসক্রিম, জানেন কীভাবে?